প্রতিষ্ঠানের ইতিহাস
লেক সার্কাস উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় ১৯৬০ সনে প্রতিষ্ঠিত হয়ে অত্যন্ত সুনামের সাথে পরিচালিত হয়ে আসছে। ব্যবস্থাপনা পরিষদের সম্মানিত সদস্যবৃন্দ ও বিদ্যালয়ের সম্মানিত শিক্ষক/শিক্ষিকাগণের আন্তরিক সহযোগিতায় আমরা বিদ্যালয়টিকে ঢাকা মহানগরীর একটি শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠে পরিণত করার দৃঢ় সংকল্প গ্রহণ করেছি। বিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ ও শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নকল্পে বহুবিধ সুপরিকল্পিত ও বাস্তবধর্মী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। শ্র্রেণিকক্ষে সুপরিকল্পিত ও আদর্শ পাঠদানের ব্যবস্থাসহ পাঠকে আকর্ষণীয় ও শিখনফল টেকসই করার জন্য ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরি করে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের মাধ্যমে পাঠদান করা হয়। ডিজিটাল পদ্ধতিতে পাঠদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বিদ্যালয়টি “মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম এওয়ার্ড-২০১৫” অর্জন করেছে। অর্ধ-বার্ষিক ও বার্ষিক পরীক্ষার পূর্বে প্রতি বিষয়ে ৫০ নম্বরের ১টি করে পার্বিক পরীক্ষার প্রবর্তন করা হয়েছে। লেখাপড়ার সাথে সাথে শিক্ষার্থীদের বহুমুখী সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ ঘটিয়ে বহুগুণে সমৃদ্ধ সৃজনশীল মানুষ হিসেবে গড়ার লক্ষে নানারকম প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। শিক্ষার্থীরা ক্লাসে নিয়মিত উপস্থিত না হলে লেখাপড়ার ধারাবাহিকতা থাকে না এবং শিক্ষার্থীরা অমনোযোগী হয়ে পড়ে। শিক্ষার্থীদের নিয়মিত বাড়ির কাজ দেয়া হয় ও উত্তরপত্র মূল্যায়ন করা হয়। বহুনির্বাচনি অভীক্ষার দক্ষতা অর্জনের লক্ষে সকল শ্রেণির, সকল বিষয়ের বহুনির্বাচনি অভীক্ষা আছে ঐ সকল বিষয়ের প্রতি অধ্যায় হতে পরীক্ষা নেয়া হয়। যে সমস্ত শিক্ষার্থী শ্রেণিকক্ষে পড়া দিতে পারবে না, তাদের পড়া আদায়ের জন্য ছুটির পর ডিটেনশন ক্লাসের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীদের বহুমুখী প্রতিভা ও সৎ গুণাবলীর বিকাশ ঘটিয়ে বহুগুণ সমৃদ্ধ সৃজনশীল, সুশৃঙ্খল ও ন্যায়নিষ্ঠ আদর্শ শিক্ষার্থী গড়ার জন্য প্রয়োজন শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকের সমন্বয়। তাই আমরা সম্মানিত অভিভাবকের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করছি। এ লক্ষে আমরা বার্ষিক পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং তা বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফলের প্রায় সাথে-সাথেই শিক্ষার্থীর হাতে তুলে দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছি। অভিভাবকগণ যাতে তাদের সন্তানের পাঠক্রম ও পাঠ্যসূচি সম্পর্কে অবহিত হয়ে তার পাঠোন্নতির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেন সে জন্যই আমাদের এ প্রয়াস। আমার বিশ্বাস, পিতা-মাতা, অভিভাবকগণ এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট বিষয় শিক্ষকদের সাথে যোগাযোগ রেখে তাঁদের সন্তানদের পাঠোন্নতির বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
আমি শিক্ষার্থী, শিক্ষক, পিতা-মাতাসহ সকলের সর্বাত্মক সহযোগিতা এবং কর্মতৎপরতা কামনা করছি।
আইসিটিতে জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত ও ২০১৫ খ্রিঃ ঢাকা বে (পান্থপথ সংলগ্ন) দুটি সুপ্রশস্ত প্রবেশদ্বার বিদ্যমান।আছে।জেলা সেরা সরকারি কর্মকর্তার পুরস্কারপ্রাপ্ত শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান।